সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
বর্তমান প্রেক্ষাপটে গরুর গোশতের কেজি ৬০০ টাকার মধ্যে থাকা উচিত জানিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আমরা যদি চামড়ার প্রকৃত দাম দিতে পারি, পথে পথে যেসব অনিয়ম হয় সেগুলো দূর করতে পারি, গরুর খাদ্যের দাম কমাতে পারি, গ্রামের অপ্রতিষ্ঠিত হাটের হাসিল কমাতে পারি, তাহলে ৫০০ টাকায়ও গরুর গোশত খাওয়ানো সম্ভব। আশপাশের দেশের (প্রতিবেশী দেশ) গরুর গরুর গোশতের দাম ৪০০ টাকার ঘরেও নামানো সম্ভব। গতকাল রোববার পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কসাইটুলি আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে অবস্থিত নয়ন আহমেদের মাংসের দোকান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গরুর গোশতের দাম কমলে মাছ, মুরগি ও ডিমের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে জানিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, কারণ গরুর গোশত প্রোটিনের একটি বড় সোর্স। এটির দাম কমলে ব্রয়লার মুরগি, মাছ ও ডিমের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এজন্য এ বিষয়ে আরও নজর দেওয়া দরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারণ করা দামে ২৯টি পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম, যৌক্তিক মূল্য বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা কিছু আইনের মধ্যে চলি। বাজার মনিটরিং বা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজের একটি অংশ মাত্র। এরপরও আমরা সারা বছর বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছি। গতকালও আমরা সারা দেশে বাজার মনিটরিং করে ১৫২টি বাজারে সাড়ে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছি। এখন ফলাফল পেতে নিশ্চই একটু সময় লাগবে।
এর আগে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, পুরান ঢাকার কসাইটুলির গর্ব নয়ন দেখিয়ে দিয়েছেন গরুর গোশত ৫৮০ টাকায় বিক্রি করা যায়। তিনি বলেন, দেশে এখনো কোথায় গরুর গোশতের কেজি ৮০০, কোথাও ৭৫০, কোথাও ৭০০ টাকা। নয়ন, খলিল, উজ্জ্বলরা যদি কম দামে গরুর গোশত কম দামে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে কেন বেশি দাম হবে?